পর্যটন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, উন্নয়ন পরিকল্পনায় পর্যটনকে সম্পৃক্তকরণ এবং বাংলাদেশের পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তাকরণ বিষয়ে জুম কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো মাহবুব আলী, বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাভেদ আহমেদ অংশ নেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক মােঃ জিয়াউল হক। স্বাগত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক পর্যটন শিল্পকে প্রমােট করার জন্য বগুড়া কে বেছে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন বগুড়া পুন্ড্র নগরী। এটি প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম পীঠস্থান। এখানে রয়েছে বেহুলার বাসরঘর, খেরুয়া মসজিদ, ভবানী মন্দির। বাঙালির ঐতিহ্য পােড়াদহের মেলা, কেল্লাপুশির মেলাসহ অনেক কিছু। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) উজ্জ্বল কুমার ঘােষ তার বক্তব্যে বলেন, বগুড়ার পর্যটন কেন্দ্র গুলাে পাশ্চত্যের তুলনায় কম নয়।
কিন্তু জনবলের অভাবে নিদর্শনগুলাের সার্বিক পরিচিতি উপস্থাপিত হয়না। আমরা না বুঝলেও পাশ্চাত্যের কিছু মানুষ মহাস্থানের এবং এর প্রত্ন নিদর্শন গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি দক্ষ টুরিস্ট গাইড তৈরি করা, ভাসু বিহার, বেহুলার বাসরঘর এমন এলাকা চিহ্নিত করে সীমানা প্রাচীর নির্মানের প্রয়ােজনীয়তার উপর গুরুত্ব দেন। তিনি আরও বলেন, দেখভালের লোক না থাকায় দর্শনার্থীরা যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বগুড়ার আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা জুম মিটিংএবলেন, মহাস্থানগড় কেন্দ্র করে ২০ কিলােমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা প্রাচীন শহরই আজকের মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা।
বেহুলার বাসরঘর, জিংক, শিলাদেরি মাঠ ইত্যাদি মাইথােলজিক্যাল প্রেস, ভাসুবিহার, গোবিন্দ ভিটা, পাহাড়পুরসব মিলিয়ে টুরিস্টদের ভ্রমনের জন্য প্যাকেজ করলে ভালাে হয়। তিনি আরও বলেন, মহাস্থানে গৌতম বুদ্ধ এসেছিলেন, এই কথাটি জানাতে হবে। ওয়েবসাইডের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। যােগাযােগ মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে যাতে চীন, জাপান, কোরিয়াসহ বুম্বাদীরা এখানে আসতে উৎসাহী হন। তিনি মহাস্থানে ভালাে খাবার হােটেল, আবাসিক ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, পরিবহন সুবিধা ইত্যাদি ভালাে করার ব্যাপারেও তাগিদ দেন। কর্মশালার প্রধান অতিথি বেসরকারি বক্তব্যে উল্লেখ করেন বগুড়া উত্তরাঞ্চলের গেটওয়ে, এগো ইল্লাফ্ট্রি, এগ্রিকালচারাল পণ্যের জন্য বিখ্যাত প্রশ্নতত্ব নির্দেশন এর জন্যও বিখ্যাত। বগুড়ার মেলা এবং প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো দেশের মানুষ এবং বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। এর আগে জুম আলােচনার শুরুতেই পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা। করেন অতিরিক্ত সচিব জাভেদ আহমেদ। প্যানেল আলােচক ছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মােঃ আলমগীর কবির, মহাস্থান যাদুঘরের কাস্টোডিয়ান রাজিয়া সুলতানা প্রমুখ।